প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: 'কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে দিনভর শান্ত পরিবেশে ভোটের পর রাতে ফল ঘোষণা কেন্দ্রে তুমুল উত্তেজনা। এর মধ্যেই কুমিল্লার নতুন মেয়রের নাম হয়ে যায় জানা। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুকে ৩৪৩ ভোটে হারিয়ে বিজয়ের মুকুট পরেছেন নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত।'
-গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন। তবে তার আগে হইচইয়ের মধ্যে কারচুপির সন্দেহের কথা বলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাক্কু।
'রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ১০৫ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। বিদায়ী মেয়র সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। তৃতীয় স্থানে থাকা নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট।
ফল ঘোষণার পরপরই সাক্কু তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, নির্বাচনে আমি জয়ী হওয়ার পরই আওয়ামী লীগের লোকজন রিটার্নিং অফিসারকে চাপ দেন। এ কারণে কিছু সময়ের জন্য ফল বন্ধ রাখা হয়। পরে ফল পাল্টে দিয়ে রিফাতকে জয়ী করা হয়েছে। আমাকে সুপরিকল্পিতভাবে হারানো হয়েছে। তা না হলে নির্বাচন কমিশন হঠাৎ করে ফলাফল বন্ধ রাখল কেন? এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেব।'
-ফল ঘোষণার পরই নগরজুড়ে সরকারদলীয় নেতাকর্মী ও রিফাতের সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করেন। ফল শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যাশা করেছিলেন। নির্বাচন কমিশন সেই কাজটিই করেছে। কুমিল্লায় সন্ত্রাসীদের কোনো স্থান নেই। নৌকার বিজয়ের মধ্য দিয়ে কুমিল্লার উন্নয়ন আরও এগিয়ে যাবে।
-রাত ৯টার কিছু আগে ১০৫টির মধ্যে ১০১টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়। এতে সাক্কু পেয়েছিলেন ৪৮ হাজার ৪৯২ ভোট। আর রিফাত পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ৮৬০ ভোট। এর পরই বন্ধ রাখা হয় ফল ঘোষণার কার্যক্রম। সাক্কু তাঁর সমর্থকদের নিয়ে অবস্থান নেন ফল ঘোষণাস্থল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে। মাইকে ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও সেখানে অবস্থান নিতে বলা হয়। এ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দু'পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে পুলিশ লাঠিপেটাও করেছে। এক পর্যায়ে দু'পক্ষই মারমুখী অবস্থান নেয়।
*উৎসবমুখর ভোট :দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে গ্রহণ করা হয় কুসিকের ভোট। নির্বাচন চলাকালে ভোটের পরিবেশ নিয়ে মেয়র বা কাউন্সিলর প্রার্থী কেউই গুরুতর অভিযোগ তোলেননি। তবে বৃষ্টিতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে ভোটারদের। ইভিএমের (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোগান্তিও ছিল বাড়তি বিড়ম্বনা। অনেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও ভোট না দিয়ে ফিরে যান। তবে প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই ছিল ভোটারের দীর্ঘ লাইন, বিশেষ করে নারী ও সংখ্যালঘু ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ধারণা দেওয়া হয়, নির্বাচনে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
'সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) কুমিল্লা জেলার সভাপতি শাহ মো. আলমগীর খান বলেন, 'আমরা নির্বাচন নিয়ে একটা শঙ্কার মধ্যে ছিলাম। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে যে যা-ই বলুক না কেন, আমি বলব, কমিশন একটি সুন্দর নির্বাচন কুমিল্লায় উপহার দিতে পেরেছে।'
*ইভিএমে ভোগান্তি :সবারই অভিযোগ ছিল ইভিএম নিয়ে। ভোটাররা জানান, ইভিএম নিয়ে মানুষের ধারণা না থাকায় ভোট দিতে দেরি হয়েছে। এতে যন্ত্রণায় পড়েছেন ভোটার ও ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারীরা।
-সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের উছা মিয়া লুৎফুন্নেসা বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। ওই সময় পর্যন্ত ১ নম্বর বুথের ৩৬০ ভোটারের মধ্যে ৬৬টি ভোট পড়ে। ২ নম্বর বুথে ভোট পড়ে ৬৩টি। বুথের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার জাহানারা আক্তার জানান, ইভিএমে ভোট দিতে মানুষ অভ্যস্ত না হওয়ায় সময় লাগছে। আবার একজনের ভোট দেওয়া শেষ না হলে আরেকজনের ভোট নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার মাহমুদুল হাসান জানান, ৫১ নম্বর ওই কেন্দ্রে মোট ২ হাজার ১৫৫ ভোটের মধ্যে সকাল ১০টা পর্যন্ত ছয়টি বুথে ৩১৯টি ভোট পড়েছে। একইভাবে বিদ্যালয়ের ৫০ নম্বর কেন্দ্রে ওই সময় পর্যন্ত ২৯৮ ও ৪৯ নম্বর কেন্দ্রে ২৪৮টি ভোট পড়ে। তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন আগে কেন্দ্রগুলোতে ইভিএমে মক ভোট হয়েছিল। তখন ভোটাররা মক ভোটে অংশ নিতে আগ্রহী ছিলেন না। অবশ্য ভিন্ন চিত্রও দেখা গেছে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই লাইন ছাড়া ভোট দিতে পেরেছেন অনেক কেন্দ্রে।
'কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে কিছু গোলযোগও হয়। তবে কিছু সময়ের মধ্যেই বিকল্প মেশিন ব্যবহার করে ভোট চালু করা হয়। ইভিএম বিড়ম্বনা বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, ধীরগতির কারণ হচ্ছে, একজন ভোটার তিনটা বাটন চেপে ভোট দেন। তাঁরা ভোট দেওয়ার আগে চিন্তা করতে সময় নেন। তা ছাড়া এবারই প্রথম এখানে ইভিএমে ভোট হচ্ছে। এসব কারণে কিছুটা সময় লাগতে পারে।'
* ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে বিড়ম্বনা :অনেক ভোটারের ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলায় ভোট গ্রহণে দেরি হয়েছে। এ ধরনের ভোটারের ক্ষেত্রে পোলিং এজেন্ট, প্রিসাইডিং অফিসার ও প্রার্থীদের এজেন্টদের মধ্যে সরবরাহ করা ভোটার তালিকার সঙ্গে নাম-পরিচয় মিলিয়ে ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাতাবাড়িয়া বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার রকিবুল ইসলাম বলেন, মোট ভোটার ১ হাজার ৯১৭ জন। কিন্তু ভোট খুব ধীরে হচ্ছে। পাশের বাতাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একই অবস্থা। এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন, প্রথম ৩৫ মিনিটে ভোট পড়েছে মাত্র ১৫টি। এ কেন্দ্রে ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ৯৪৫ জন।
-দিশাবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরুষ কেন্দ্রে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ভোটারের দীর্ঘ লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দিতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে যান ষাটোর্ধ্ব আলফু মিয়া। তিনি বলেন, পরে ভিড় কমলে আবার ভোট দিতে যাবেন। সকালে নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুমিল্লা হাই স্কুল মহিলা ভোটকেন্দ্রে শুরুতেই ইভিএমে দেখা দেয় সমস্যা। পদুয়ারবাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকালে ভোট দিতে গিয়ে দুই ঘণ্টা ধরে গরমের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তঃসত্ত্বা খাদিজা বেগম। তিনি বলেন, 'আমি আর ভোট দেব না। একটু ভালো লাগলে বাসায় ফিরে যাব।' প্রিসাইডিং অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়স্ক, অসুস্থ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য আলাদা নির্দেশনা দেওয়া আছে। কোনো অন্তঃসত্ত্বা অনুরোধ করে ভোট দিতে পারেননি- এমন কোনো অভিযোগ তিনি পাননি।
৩৪৩ ভোটে জয়ী নৌকার আরফানুল হক রিফাত
* বৃষ্টিতে বিঘ্নিত ভোটের পরিবেশ :কয়েক দিন ধরেই কুমিল্লার আকাশে ছিল মেঘের ঘনঘটা। সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণের শুরুতেই কেন্দ্রগুলোতে লাইন দেখা যায়। এর পরপরই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। ভোটাররা লাইন ভেঙে কেন্দ্র ও আশপাশের ভবন-বাসাবাড়িতে আশ্রয় নেন। অনেকে ভোট না দিয়ে ফিরে যান। আর সর্বত্র সাধারণ ছুটি না থাকায় যাঁরা আগেভাগে ভোট দিয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁরাও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোট না দিয়ে কর্মস্থলে ছোটেন।
* বিজয়ে আশাবাদী ছিলেন সবাই :সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলে ভোট দেন আরফানুল হক রিফাত এবং পৌনে ৯টার দিকে একই কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ভোট দেন। অন্যদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর হোচ্ছাম হায়দার উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দেন মনিরুল হক সাক্কু। ভোট দেওয়ার পর তিন প্রার্থীই বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আরফানুল হক রিফাত বলেন, শান্তির কুমিল্লায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছে। ফলাফলে তাঁর দ্বিতীয় হওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বিজয়ে শতভাগ আশাবাদী। নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ কেমন- এমন প্রশ্নের জবাবে রিফাত বলেন, আমি নালিশ পার্টির নেতা নই। তাই এ নিয়ে কোনো নালিশ নেই। একই কেন্দ্রে ভোট দেওয়া শেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি থেকে বহিস্কৃৃত নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে তিনিই বেশি কাজ করেছেন। ইভিএম নিয়ে নিজাম বলেন, ভোট খুব ধীরে হচ্ছে। ভোট গ্রহণকারীদের আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। বিএনপি থেকে বহিস্কৃৃত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্রে আসতে ভোটারদের বাধা দেওয়ার খবর আসছে। এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ যা আছে, তা বহাল থাকলে তিনি বিজয়ে শতভাগ আশাবাদী।
* দায়িত্ব পালনকারীরা ছিলেন তৎপর :প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী সবাই ছিলেন তৎপর। কোথাও জটলা দেখলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের হটিয়ে দিয়েছে। দু-চারজনকে লাঠিপেটাও করেছে। অবশ্য দুয়েকটি কেন্দ্রে সরকারদলীয় লোকদের প্রতি কিছুটা সহানুভূতির চিত্র চোখে পড়েছে। শহরের বিষুষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হলে পুলিশ দ্রুতই তাদের হটিয়ে দেয়। র্যাব, বিজিবি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের টহলও ছিল চোখে পড়ার মতো। জাল ভোট, ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে ১০ জনকে আটক করে স্বল্প মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
'জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, কেন্দ্রে যারাই সহিংসতা কিংবা অনিয়মের চেষ্টা করেছে, তাদেরই আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রগুলো ও বুথে বুথে স্থাপন করা সিসিটিভি ক্যামেরার কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হয়।'
* কয়েক দিন পর প্রকাশ্যে এমপি বাহার :নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে নির্বাচন কমিশন থেকে এলাকা ত্যাগ করার নোটিশ পাওয়া কুমিল্লা-৬ আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার কয়েক দিন ধরেই ছিলেন নিশ্চুপ। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের সামনে পড়েন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাকে এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে চিঠি দিয়েছে। আমি সরকারের কোনো অংশ না। আমার পরিচয়, আমি জাতীয় সংসদের একজন সদস্য। আমাকে এই আইনের আওতায় আটকে রেখে ঘরবন্দি করে রাখা হয়েছে। কমিশনের দেওয়া চিঠির ভাষাগত দিক নিয়েও অনেক সমস্যা আছে। এই আইন নিয়ে আমি সংসদে কথা বলব। নির্বাচন কমিশন আমাকে যে চিঠিটা দিয়েছে, সেই চিঠির কারণে কুমিল্লার জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে নৌকায় ভোট দিচ্ছেন। এ চিঠিটা যদি না দিত, কুমিল্লার মানুষ এত বিক্ষুব্ধ হতো না। তবে আমি দুঃখিত, আপনারা অনেকে ঢাকা থেকে এসে আমাকে খুঁজে পাননি।